শীয়া অঙ্গ সংগঠন কথিত আহলে হাদিস ও লা- মাযহাবীদের কিছু ভ্রান্ত আক্বিদা




""""""""""""""""""""""""""""""""""
তথাকথিত আহলে হাদিসদের কিছু ভ্রান্ত আকিদা
নিচে প্রমাণ-সহ তুলে ধরলাম। যাতে আহলুস
সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে ও শীয়াদের পক্ষে
গোপনে এদের ভয়ংকর নীল নকশা আর বেশি
দূর এগুতে না পারে। যাতে স্বাধারণ মানুষদের
এদের সহিহ’র মোড়কে সহিহ ধোকায় নিপতিত
হতে না হয়, সে জন্য আমি তাদের গুটিকতক
মেকি ভন্ডামির জারিজুরি প্রকাশ করে দিলাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘হাদয়িতুল মাহদি’
পুস্তকের ১১০ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “জুমার
খুতবায় খোলাফায়ে রাশেদার নাম নেয়া
বিদয়াত।” (নাউযুবিল্লাহ) ।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘তানবীরুল আফা-ক’
পুস্তকের ১০৭ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে
“খোলাফায়ে রাশেদা অর্থাৎ হযরত আবু বকর,
হযরত উমর, হযরত উসমান এবং হযরত আলী
(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) উনারা শরীয়তের খেলাফ
হুকুম জারি করতেন। (নাউযুবিল্লাহ)।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘কাশফুল হিজাব’
পুস্তকের ২১ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “হযরত
আয়েশা (রা) আলীর সাথে যুদ্ধ করে মুরতাদ
হয়ে গেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ)।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘হাদয়িতুল মাহদি’
পুস্তকের ১০৩ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে
“আয়িম্মায়ে ইছনা আশারা যারা শীয়াদের ইমাম, আমরা
তাদের অনুসারী।”
উল্লেখ্য, এ কথা দ্বারা পুরোপুরিভাবে সুস্পষ্ট
হয়ে গেছে যে, মাযহাবের বিরুদ্ধে
প্রোপাগান্ডাকারী ও আহলে হক্বের সাথে
আলোচনার টেবিলে যোগদানে
অস্বীকারকারী ক্রমাগত পালিয়ে বেড়ানো
আহলে হাদিস নামধারি কথিত ছহি হাদিসের অনুসারীরা
মূলত শীয়াদেরই একটি অঙ্গ সংগঠন। যাদের
কাজই হল আহলুস সুন্নাহ’র অনুসারী মুসলিমের
বিভ্রান্ত করে মাযহাবের বন্ধন থেকে সরিয়ে
দেয়া ও ধীরেধীরে সাহাবী বিদ্বেষী
করে তুলা। পর্যায়ক্রমে শীয়াদের পাল্লাই ভারি
করা। যা দেরিতে হলেও আজ দিবালোকের ন্যায়
পরিষ্কার।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘তানবীরুল আফা-ক’
পুস্তকের ৪৯৮-৪৯৯ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে
“হযরত উমর কুরআনের হুকুম পরিবর্তন করে
ফেলেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ) ।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘দলীলুত ত্বলিব’
পুস্তকের ৫২ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “অপবিত্র
অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ।” (নাউযুবিল্লাহ)

আহলে হাদিসদের রচিত ‘বদূরুল আহিল্লাহ’
পুস্তকের ১৪-১৫ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “সমস্ত
জানোয়ার তথা জন্তুর পেশাব
পবিত্র।” (নাউযুবিল্লাহ)।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘দলীলুত ত্বালিব’
পুস্তকের ২৬৪ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “নামাযের
জন্য কাপড় পাক হওয়া জুরুরি নয়।” (নাউযুবিল্লাহ)।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘হাদয়িতুল মাহদি’
পুস্তকের ২৩ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “মহিলাও
মুয়াজ্জিন হতে পারবে।” (নাউযুবিল্লাহ)।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘বদূরুল আহিল্লাহ’
পুস্তকের ৩৯১ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “এক
বকরীতে ১০০ মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানি
হতে পারে।” (নাউযুবিল্লাহ)।
আহলে হাদিসদের রচিত ‘যফরুল কাযী’
পুস্তকের ১৪১, ‘উরুফুল জাবী’ পুস্তকের ১১৫ নং
পৃষ্ঠায় লেখা আছে “পুরুষ একই সময় যত ইচ্ছে
বিয়ে করতে পারবে।” (নাউযুবিল্লাহ)।
সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা! সহিহ হাদিসের মোড়কে শীয়া
এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কথিত আহলে হাদিসদের
এরকম হাজারো উল্টাপাল্টা ফতুয়াবাজির ডকুমেন্ট
আমাদের নিকট রয়েছে। যা সুস্পষ্টভাবে
ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ফেরকা শীয়া
কুফফারদের সাথে মিল।
এখন প্রশ্ন হল, মাযহাব বিদ্বেষী এ নতুন
ফেরকার অনুসারীরা এবং যারা এদের দলে যোগ
দেবে তাদের সকলের ঈমান আকিদার কী হাশর
হবে? আল্লাহ তায়ালা এ আখেরি যামানায় এ জাতীয়
নতুন ফেরকাগুলো হতে আমাদের রক্ষা করুন,
আমীন।

Comments