🕋মক্তব-খানকা বিত্তিক দ্বিনি কার্যক্রমের ইতিহাস।

 

👇👇👇👇👇👇👇👇👇
.
পবিত্র কালামে ক্বাদিমে আল্লাহ পাক বলেন তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাহ সমগ্র মানব জাতির কল্যানের জন্য তোমাদের অভ্যুত্থান, সৎ কাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাসী থাকবে।
সুরা আল ইমরান আয়াত (১১০)
অন্য আয়াতে বলেন
সব মুমিনদের একই সাথে অভিযানে বের হওয়া উচিত নয়।
তাদের প্রত্যেক দল থেকে একটি দল কেন বের হয়না, যারা দ্বীনের জ্ঞান অরজন করবে,এবং নিজ নিজ কওমের কাছে গিয়ে তাদের কে ভয় প্রদর্শন করবে।
যাতে তারা নিজেদের কে অন্যায় কাজ থেকে রক্ষা করতে পারে।
সুরা তাওবা আয়াত (১২২)

.
১👉 নবুওয়াতির প্রথম যুগে খানকা - মক্তব বিত্তিক দ্বীনি তা'লীম ও
তারবিয়াত এর প্রমান।
মদিনায় হিজরতের পর
ইসলাম রাষ্ট্রীয় ভাবে কায়েমের পর মাসজিদে নববীতে রাসুল সাঃ খানকা - মক্তবে নবুওয়াতি মিশনের কার্যক্রম জারী ছিল।
এর নিয়মিত ছাত্র ছিলেন আহলে সুফফা ও মদীনার অধিবাসীগন অনিয়মিত ছাত্র ছিলেন দুর-দুরান্তের অন্যান্য সাহাবীগন।
পুরণাংগ দ্বীনি তা'লীম তরবিয়ত ও নসিহত যারী ছিল।
.
২👉 সাহাবীগনের যুগে খানক- মক্তব বিত্তিক
দ্বীনি তা'লীম তরবিয়তের প্রমান।
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ,
হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রাঃ,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ,
হযর আনাছ ইবনে মালিক রাঃ,
হযরত আবু সাইদ খুদরী রাঃ,
ও হযরত হাসান ইবনে আলী রাঃ অগ্রগন্য তাদের তা'লীম তরবিয়ত ছিল কুরআন ও হাদিস বিত্তিক নসিহত গবেষনা।
.
৩👉 তাবিঈন ও তাবে- তাবিঈনগনের যুগে উম্মাহর ইমাম ও আহলে বয়াতগন সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম গনের পদাংক অনুসরণ করে মসজিদে বা নিজ বাড়িতে দ্বীনি মাদরাসা মক্তব খানকা কায়েম করেছেন।
হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইব্যাহ,
হযরত উরওয়া ইবনে যুবাইর,
হযরত সালেম ইবনে আব্দুল্লা ইবনে ওমর,
হযরত ইমাম হাসান বসরী,
ইমাম যুহরী,
ইমাম সুফিয়ান সওরী,
ইমাম আওযাঈ,
ইমাম আবু হানিফা,
ইমাম মালেক,
ইমাম আহমাদ,
ইমাম শাফেয়ী,
ইমাম মুহাম্মদ,
ইমাম ইউসুফ,
রাহঃ আলাইহিম
প্রমুখ অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছেন।
.
৪👉 তাবে- তাবিঈনগনের জামানার পর থেকে আব্বাসি তুরকী ও ভারত বাদশাহী
আমলে উম্মাহার ঈমান ও আমল হিফাজতের জন্য উলামায়ে কেরাম তাবেঈন তবে- তাবিঈন রাহমাতুল্লাগন সাহাবায়ে কারামের পদাংক অনুসরণ করে মক্তব খানকা বিত্তিক দ্বীনি কার্যক্রম পরিচালনা করে হিদায়াতের সঠিক আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
ইমাম বুখারী,
ইমাম মুসলিম,
ইমাম তিরমিযী,
ইমাম আবু দাউদ,
ইমাম নাসাঈ,
ইমাম ইবনে মাজাহ,
হাফিয ইবনে হাজার আসকালানী,
হাফিয আন্দালুসি,
শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী,
শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী,
ইমাম গাজ্জালী,
শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী,
শায়খ মঈনুদ্দিন চিশতী,
শায়েখ বাহা উদ্দিন নকশবন্দী,
রামাতুল্লাহ প্রমুখ সে যুগে নবুওয়াতের নমুনায় খানকা বিত্তিক দ্বীনি কার্যক্রমের অগ্রপথিক ছিলে।