পবিত্র মিরাজ শরীফ বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য খুবই তাৎপর্যমণ্ডিত এবং ফযীলতপূর্ণ দিন। যে ব্যক্তি পবিত্র শবে মিরাজের দিনে রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে পাঁচ বছর রোযা রাখার ফযীলত দান করবেন। রজব মাস হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মিরাজ শরীফ-এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় যে ব্যক্তি এ মাসের কোন এক রাতে ইবাদত করবেন তিনি এক বৎসর রাতের ইবাদতের ছওয়াব পাবেন। শবে মিরাজের রাতে ইবাদত-বন্দিগী, তওবা-ইস্তিগফার ও দোয়া-মুনাজাত করা ও পরের দিন রোযা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
পবিত্র মিরাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল, ফযীলতের মধ্যে হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল, ফযীলত যা বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। আর অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে কিছু উলামায়ে ‘ছূ’ রয়েছে, যারা বলে থাকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিরাজ শরীফ-এ চোখের পলকে ২৭ বছর কি করে অতিক্রম করলেন? (নাঊযুবিল্লাহ)
মূলত দুনিয়াদার ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানাদের ইলম-কালাম, আক্বল সমঝ কম থাকার কারণে তারা এ ধরনের বদআক্বীদা পোষণ করে থাকে। কেননা একজন ফেরেশতা যদি চোখের পলকে দুনিয়াতে আসতে পারেন, আবার সাত আসমান অতিক্রম করে যেতে পারেন; তাহলে যিনি নবী আলাইহিস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের রসূল, যাঁর উছীলায় সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি হয়েছে, চোখের পলকে দুনিয়াবী দৃষ্টিতে ২৭ বছর অতিক্রম করা তো উনার জন্য কিছুই না।
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিটি মুসলিম দেশের সরকারের তো অবশ্যই উচিত বরং পৃথিবীর সকল অমুসলিম সরকারদেরও উচিত আসন্ন মিরাজ শরীফ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং পবিত্র শবে মিরাজ ও মি’রাজ শরীফ-এর মর্যাদা-মর্তবা ফুটিয়ে তোলা। ইসলামী চেতনা ও আদর্শ প্রতিফলনের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের জন্য সচেষ্ট হওয়া। কিন্তু বড়ই পরিতাপের সাথে বলতে হয়, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত বিভিন্ন দিবস যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের ও রীতি-নীতির কোন সম্পর্ক নেই এবং মুসলমানদের প্রয়োজনও নেই সেগুলো জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়, এটা খুবই দুঃখজনক। অথচ মুসলমানদের জন্য যে দিনগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইহকাল ও পরকালের নাজাতের কারণ হতে পারে সে দিনগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় না; পালন করলেও যেন দায়সারাভাবে পালন করা হয়। তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের সকলেরই উচিত পবিত্র মিরাজ শরীফসহ ইসলামের অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা।
Comments
Post a Comment