বালাই হাওরের কান্না,





অাল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব ফুলতলী যখন ঢাকা অালিয়া মাদ্রসায় অধ্যয়নরত ছিলেন তখন সময়ের ফাঁকে একবার বাড়িতে এসেছিলেন। বাড়ির সফর শেষ করে যখন অাবার ঢাকায় ফিরে যাবেন তখন ছাহেব কিবলাহর নিকট থেকে তিনি বিদায় নিতে গেলেন। ছাহেব কিবলাহ বড় ছাহেবজাদাকে বললেন, অামার বাড়িতে কোনো পশু-পাখি কষ্টের মধ্যে থাকুক তা অামি চাই না। যদি কোনো পশু-পাখি অামার বাড়িতে কষ্টের মধ্যে থাকে তাহলে কিয়ামতের ময়দানে অামাকে অাল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। তুমি খালিবাড়িতে (পতিত বাড়ি) চলে যাও, সেখানে গিয়ে দেখ একটি কুকুরী কয়েকটি বাচ্চা নিয়ে শীতে মধ্যে কষ্ট পাচ্ছে। এদের খিদমত কর। বড় ছাহেব সাথে সাথে খালিবাড়িতে চলে গেলেন এবং অাগুন জ্বালিয়ে দিলেন শীত নিবারনের জন্য এবং বস্তার উপর বাচ্চাদের তুলে অানার ব্যবস্থা করলেন যাতে তাদের ঠান্ডা প্রশমিত হয়। ছাহেব কিবলাহ শুনে খুব অানন্দিত হলেন।
★কিছুদিন অাগে এক মহিলা স্বপ্নের মধ্যে ছাহেব কিবলাহকে দেখলেন যে, তাকে ছাহেব কিবলাহ বলছেন ১১ হাজার টাকা গরীব-মিসকীনের মধ্যে বন্টনের জন্য। মহিলা কথা অনুযায়ী টাকাগুলো বন্টনের ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু বন্টনের সময় একজন মিসকিন টাকা নিতে চাইল না। তাকে কারণ জিজ্ঞেস করলে সে কোনো কথা না বলে কেঁদে ফেললো, বলল-অাল্লাহ অামাদের এমন একজন মুর্শিদ দান করেছিলেন যিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পরও অামাদের অাহারের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন নিচ্ছেন।
[বর্ণনা করেছেন: মাওলানা অাবু অাইয়ুব অানসারী
খতীব, কুলাউড়া রেলওয়ে জামে মসজিদ]

Comments