বাংলাদেশে নানান রকম ফল পাওয়া যায় ৷ বিশেষ করে গ্রীষ্ম ও বর্ষা
কালে অনেক রকম ফল বাজারে পাওয়া যায় ৷আমি অনেক বাঙালি পেয়েছি যারা
প্রতিদিন তো দুরের কথা জীবনে কখনও ফল খান না ৷কিন্তু আপনি কি জানেন কেন
প্রকৃতিতে এত ফলের সমাহার? প্রতিদিন আমাদের খাদ্য তালিকায় ফলের বিশেষ
প্রয়োজনীয়তা আছে৷ আমেরিকার National Cancer Institute ফল খাবার উপর
জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷ ফলে আছে অনেক পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে ভিটামিন ,
মিনারেল, এনজাইম ও ফাইবার৷ ফল আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ করে দেহের
শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে . নিচে পড়ুন ফল কেন খাবেন:-
- স্মরণ শক্তি বাড়ে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- দৃষ্টি শক্তি বাড়ে
- হার্ট এর অসুখ প্রতিরোধ করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
- দাত ও হাড় মজবুত করে
- ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
- বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে
- Cholesterol লেভেল ঠিক রাখে
- ফল লো ফ্যাট খাবার
- পেট ভরানোর জন্য অন্য খাবার না খেয়ে ফল খেতে পারেন
- হজম শক্তি বাড়ায়
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- toxin বের করে
- প্রাকৃতিক চিনির উত্স ফল শক্তি জোগায়
- আয়ু বাড়ায়
- স্বাদ বাড়ায়
ভর পেট না খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ এর জন্য অনেকে এক দুই টুকরা ফল খেয়ে
পেট ভরান ৷অনেকে মনে করেন ভাত খাবার পরে অল্প ফল খেয়ে পেট ভরালে ওজন
নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ক্ষুধাও দমন হবে,ফলের ফাইবার খাবার ও হজম করবে
৷কিন্তু এটা ভুল ৷ ফল অন্য খাবার এর সাথে হজম হয় না, বরং হজম এর সমস্যা
হয় ৷
তাই ফল খাবার সবচেয়ে ভালো উপকার পেতে হলে খালি পেটে খাবেন ৷ তারপর
৩০ মিনিট পর খাবার খাবেন ৷ এটা detoxification এর কাজ করে ৷ আর মূল খাবার
খেয়ে ৩ ঘন্টা পর ফল খেলেও অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায় ৷তবে শুধু সবজি
খেয়ে ২০ মিনিট পর ফল খেতে পারেন ৷কলা, আঙ্গুর খাবার ৪০ মিনিট পর খাবার
খাবেন ৷তাই ফল আপনার স্নাক্স (সিংগারা ,পিজ্জা ইত্যাদি)এর পরিবর্তে খেলে
অনেক উপকার পাবেন ৷ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে ৷কারণ ফল, অন্য খাবার এর চেয়ে
দ্রুত হজম হয় ৷
অধিকাংশ ফল দুপুরের আগে খাবেন ৷ এতে আপনার ব্লাড সুগার এর সমতা থাকবে সারাদিন ৷ফল রাতে খাবেন না কারণ হজম প্রক্রিয়া কে আবার রাতে শুরু না করে দিনে করা ই ভালো, যা ফল দিনে শুরু করে ৷
অধিকাংশ ফল দুপুরের আগে খাবেন ৷ এতে আপনার ব্লাড সুগার এর সমতা থাকবে সারাদিন ৷ফল রাতে খাবেন না কারণ হজম প্রক্রিয়া কে আবার রাতে শুরু না করে দিনে করা ই ভালো, যা ফল দিনে শুরু করে ৷
অনেক দিনের ফ্রিজে রাখা ও ক্যানের ফল খাবেন না ৷
ফলের জুস খেলে বড়দের জন্য চিনি ছাড়া খাওয়াই ভালো ৷একবারে সবটুকু
জুস খাবেন না ৷ একটু একটু করে খাবেন ৷এক গ্লাস জুস আসতে আসতে খেলে হজম ঠিক
মত হবে ৷জুস খাবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর খাবার খাবেন ৷খাবার খেয়ে সাথে
সাথে জুস খাবেন না ৷৩০ মিনিট পরে খাবেন ৷বেয়াম এর পর একমাত্র ফল খাওয়া যায় , অন্য খাবার নয় ৷
তবে ডায়বেটিস এর রোগী রা কোন ফল কতটুকু খেতে পারবেন তা ডাক্তার এর পরামর্শ মত খাবেন ৷
প্রতিটি ফল ই খেতে পারেন পরিমান মত ৷আপানর ডায়েট এ বিভিন্ন রকম রঙের ফল রাখুন ৷ কারণ বিভিন্ন রকম রং বিভিন্ন ভিটামিন ধারণ করে ৷
জুস এর চেয়ে কাচা ফল খাওয়া ভালো ৷ এটা তে অনেক ফাইবার থাকে ৷
ওজন যারা কমাতে চান তারা কলা, আঙ্গুর, আম ইত্যাদি অধিক ক্যালরি যুক্ত ফল কম খাবেন বা পুষ্টিবিদ এর পরামর্শ মত খাবেন ৷নিয়মিত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ এর পাশাপাশি ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকে৷যারা ওজন কমাতে চান তারা ডায়েট চার্ট এ ফল রাখুন ৷
কোন ফলে কোন ভিটামিন তা জেনে খেতে পারেন ৷ ভিটামিন সি ,ই ,বি১ ,পটাশিয়াম যুক্ত বিভিন্ন রকম ফল দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখুন ৷
আজকাল বাজারে অনেক অর্গানিক ফল পাওয়া যায় ৷ এগুলো তে অনেক মিনারেল থাকে, যা উপকারী ৷
এখন গরম ও বর্ষা র সময় আপনার খাবার তালিকায় অনেক মৌসুমী ফল রাখলে তা আপনার রোগ সারাতে সাহায্য করবে ৷ তাই আপনি ফল না খেয়ে থাকলে আজ ই খাওয়া শুরু করুন আপনার ইচ্ছা মত ৷
Comments
Post a Comment