অনেকে বলে ইসলামে নাকি সুন্নতি
পোষাক বলতে কোনো পোষাক নাই, আসলে
কি তাই !!
সুন্নতি পোষাক কি কি ?? নীচে দেওয়া
হলো ,,
সুন্নতী পোশাক, দলীল ভিত্তিক
আলোচনাঃ
.
লম্বা জামা পরিধান করা রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং
সাহাবীগণ হতে প্রমাণিত সুন্নাহ। নিসফে
সাক ﻧﺼﻒ ﺍﻟﺴﺎﻕ পর্যন্ত পোশাক পরিধান করা
সুন্নাহ। চাই জামা হোক কিংবা লুঙ্গি। এ
বিষয়ে হাদীসে পরিষ্কার বলা হয়েছে।
.
কিন্তু আফসোস! আজকাল কিছু ভাই রয়েছেন
যারা নিজেদের সহীহ হাদীসের অনুসারী
দাবী করেন অথচ তারা কথিত আধুনিকতা
প্রেমী। তারা লম্বা পোশাক পরিধান
করার চাইতে তাদের জামা-প্যান্ট, কোর্ট-
টাই পরতে খুব বেশি পছন্দ করেন। আর এজন্য
সুন্নাহ অস্বীকার করতেও দ্বিধা বোধ করেন
না। তারা বলেন, ‘জুব্বা-পাঞ্জাবী, লম্বা
পোশাক এগুলো সুন্নাহ নয়; এগুলো শুধুমাত্র
আরবদের পোশাক! আবূ জাহলও তো লম্বা
জামা পরতো!’ নাউযুবিল্লাহ। কতখানি
কুরুচিপূর্ণ কথা। আরে আবূ জাহল, আবূ
লাহাবসহ সকল কুফফাররা কি পরিধান
করেছে তা দেখে আমাদের কি কাজ?
আমরা দেখবো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেমন পোশাক
পরেছেন। সাহাবা-তাবেয়ীন, তাবে
তাবেয়ীন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীনগণ
কেমন পোশাক পরেছেন।
.
লম্বা জামা যেমনঃ জুব্বা, পাঞ্জাবী যদি
শুধু আরবদের পোশাক হয়, এগুলো পরিধান
করা সুন্নাহ না হয়, তাহলে বলতে হয়-
ইসলামের কি নিজেস্ব পোশাক নেই?
নিজেস্ব ধরণের পোশাক নেই? নাকি
বিজাতিয়দের পোশাককে টাখনুর উপরে
পরিধান করলেই পোশাকটা ইসলামী হয়ে
গেল?
.
প্যান্ট-শার্ট পরিধান নিঃসন্দেহে বৈধ।
কিন্তু সুন্নাহ নয়, উত্তম নয়। উত্তম হলো,
সুন্নাহ হলো লম্বা জানা পরা। এগুলোই
ইসলামী পোশাক। প্যান্ট-শার্ট নয়।
.
মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে, আলোকপাত
করবো, #নিসফে_সাক কাকে বলে এ বিষয়ে।
.
‘‘নিসফ’’ অর্থ মধ্য, মধ্যবর্তী, মধ্যম। আর
‘‘আস-সাক’’ অর্থ পা, পায়ের হাঁটু থেকে
পাতা পর্যন্ত অংশ। এ বিষয়ে প্রসিদ্ধ
আরবী অভিধান মু’জামুল ওসীতে বলা
হয়েছে,
ﻣﺎ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺮﻛﺒﺔ ﻭﺍﻟﻘﺪﻡ
.
অর্থাৎ ‘‘সাক’’ হলো হাঁটু এবং পাতা পর্যন্ত
অংশ।’'
.
যেমন কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
ﻓﻄﻔﻖ ﻣﺴﺤﺎ ﺑﺎﻟﺴﻮﻕ ﻭﺍﻷﻋﻨﺎﻕ
.
অর্থাৎ ‘‘অতঃপর সে ওগুলোর সাক (পা) ও
গলদেশ ছেদন করতে লাগলো।’’
.
[সূরায়ে সাদ, ৩৩]
.
আর নিসফে সাক অর্থ হলোঃ সাক বা হাঁটু
থেকে পাতা পর্যন্ত অংশের মধ্যবর্তী
স্থান।
.
নিসফে সাক তথা হাঁটু থেকে পায়ের
পাতার মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত জামা ও
লুঙ্গি পরিধান করা সুন্নাহ। এটা হাদীস
দ্বারা প্রমাণিত।
.
১। হাদীসঃ
ﺍﻟﻌﻼﺀ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﺄﻟﺖ ﺃﺑﺎ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﻱ ﻋﻦ
ﺍﻹﺯﺍﺭ ﻓﻘﺎﻝ : ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺨﺒﻴﺮ ﺳﻘﻄﺖ، ﺳﻤﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻳﻘﻮﻝ : ﺇﺯﺭﺓ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ ﺇﻟﻰ ﺃﻧﺼﺎﻑ ﺍﻟﺴﺎﻗﻴﻦ، ﻭﻻ ﺟﻨﺎﺡ ﺃﻭ ﻻ ﺣﺮﺝ ﻓﻴﻤﺎ ﺑﻴﻨﻪ
ﻭﺑﻴﻦ ﺍﻟﻜﻌﺒﻴﻦ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺃﺳﻔﻞ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ
.
অর্থাৎ আলা ইবনে আব্দুর রহমান তাঁর পিতা
হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি
সাহাবী আবূ সাঈদ খুদরী (রা.)-কে ইযার
(সেলাই বিহীন লুঙ্গি) এর ব্যাপারে
জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, আমি
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি
বলেছেন, ‘‘মু’মিন ব্যক্তির লুঙ্গি (ইযার) হবে
দুই পায়ের মধ্যবর্তী স্থান (নিসফে সাক)
পর্যন্ত। আর গুনাহ নেই টাখনুর উপর পর্যন্ত
পরে। আর যদি টাখনুর নিচে নামিয়ে পরে
তাহলে তা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে।’’
.
[মুয়াত্তা মালিক, ২/৯১৪; মুসনাদে আহমাদ,
২/২৯৪; সনদ সহীহ]
.
মুহাদ্দিসীন এবং ফুকাহাগণ এই হাদীসের
ব্যাখ্যায় বলেছেন, লুঙ্গি (ইযার) এর মতো
জামাও নিসফে সাক পর্যন্ত পরিধান করা
সুন্নাহ।
.
ইমাম ইবনে আব্দিল বার মালিকী (রহ.)
লিখেছেন,
ﻭﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺛﻮﺏ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻭﻻ ﺳﺮﺍﻭﻳﻠﻪ ﻭﻻ ﻣﺌﺰﺭﻩ ﻳﺘﺠﺎﻭﺯ ﺍﻟﻜﻌﺒﻴﻦ،
ﻭﺣﺴﻦ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺠﻌﻠﻪ ﺇﻟﻰ ﺃﻧﺼﺎﻑ ﺳﺎﻗﻴﻪ
.
অর্থাৎ ‘‘পুরুষের জন্য টাখনু (গিরা) এর নিচে
পোশাক পরিধান বৈধ নয়। আর তার জন্য
উত্তম তা নিসফে সাক (হাঁটুর নিচ) পর্যন্ত
ঝুলিয়ে পরিধান করে।’'
.
[আল কাফী লি ইবনে আব্দিল বার]
.
ইমাম নববী (রহ.) লিখেছেন,
ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﺍﻟﻤﺴﺘﺤﺐ ﻓﻴﻤﺎ ﻳﻨـﺰﻝ ﺇﻟﻴﻪ ﻃﺮﻑ ﺍﻟﻘﻤﻴﺺ ﻭﺍﻹﺯﺍﺭ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ
ﺣﺪﻳﺚ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺍﻟﻤﺬﻛﻮﺭ، ﻭﻓﻲ ﺣـﺪﻳﺚ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺇﺯﺭﺓ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ ﺇﻟﻰ ﺃﻧﺼﺎﻑ
ﺳﺎﻗﻴﻪ ﻓﺎﻟﻤﺴﺘﺤﺐ ﻧﺼﻒ ﺍﻟﺴﺎﻗﻴﻦ، ﻭﺍﻟﺠﺎﺋﺰ ﺑﻼ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﻣﺎ ﺗﺤﺘﻪ ﺇﻟﻰ
ﺍﻟﻜﻌﺒﻴﻦ، ﻓﻤﺎ ﻧﺰﻝ ﻋﻦ ﺍﻟﻜﻌﺒﻴﻦ ﻓﻬﻮ ﻣﻤﻨﻮﻉ
.
অর্থাৎ ‘‘মুস্তাহাব হলো, ইযার এবং জামা
হাঁটুর নিচ (নিসফে সাক) পর্যন্ত পরিধান
করা। যেমনটি আবূ সাঈদ খুদরী (রা.)'র
বর্ণিত হাদীসে এসেছে, ‘মু’মিন ব্যক্তির
ইযার হবে, নিসফে সাক তথা হাঁটু এবং
পায়ের পাতার মধ্যবর্তী স্থানে’
.
[শরহু সহীহ মুসলিম লিন নববী, ১৪/৩০৭]
.
ইমাম ইবনু কাইয়্যিম আল জাওযিয়্যাহ (রহ.)
লিখেছেন,
ﻭﻛﺎﻥ ﺫﻳﻞ ﻗﻤﻴﺼﻪ ﻭﺇﺯﺍﺭﻩ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻟﻰ ﺃﻧﺼﺎﻑ ﺍﻟﺴﺎﻗﻴﻦ، ﻟﻢ
ﻳﺘﺠﺎﻭﺯ ﺍﻟﻜﻌﺒﻴﻦ
.
অর্থাৎ ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের ইযার এবং জামা ছিল
নিসফে সাক পর্যন্ত ঝুলানো। গিরার নিচে
পরিধান জায়েয নয়।’’
.
[যাদুল মা‘আদ, ৪/২৩৭]
.
আল্লামা তীবী (রহ.) উক্ত হাদীসের
আলোচনায় লিখেছেন,
ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﺍﻟﻤﺴﺘﺤﺐ ﻓﻴﻤﺎ ﻳﻨـﺰﻝ ﺇﻟﻴﻪ ﻃﺮﻑ ﺍﻟﻘﻤﻴﺺ ﻭﺍﻹﺯﺍﺭ ﻓﻨﺼﻒ
ﺍﻟﺴﺎﻗﻴﻦ
.
অর্থাৎ ‘‘নিসফে সাক পর্যন্ত ঝুলিয়ে জামা
ও ইযার পরিধান করা মুস্তাহাব।’’
.
[শরহু মিশকাতুল মাসাবীহ লিত তীবী,
৮/২০৯]
.
উক্ত হাদীসের আলোচনায় সঊদী আরবের
প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শায়খ মুহাম্মাদ
বিন সালেহ আল উছাইমিন (রহ.) লিখেছেন,
ﻭﻋﻨﺪ ﺍﻟﻜﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺣﺪﻳﺚ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﻱ : ﻓﻘﺴﻢ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻘﻤﻴﺺ ﺇﻟﻰ ﺃﺭﺑﻌﺔ ﺃﻗﺴﺎﻡ :
ﺍﻟﻘﺴﻢ ﺍﻷﻭﻝ : ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺇﻟﻰ ﻧﺼﻒ ﺍﻟﺴﺎﻕ
ﺍﻟﻘﺴﻢ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ : ﺍﻟﺮﺧﺼﺔ، ﻭﻫﻮ ﻣﺎ ﻧﺰﻝ ﻣﻦ ﻧﺼﻒ ﺍﻟﺴﺎﻕ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻜﻌﺒﻴﻦ
ﺍﻟﻘﺴﻢ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ : ﻣﺤﺮﻣﺎً ﻛﺴﺎﺋﺮ ﺍﻟﺬﻧﻮﺏ، ﻭﻫﻮ ﻣﺎ ﻧﺰﻝ ﻋﻦ ﺍﻟﻜﻌﺒﻴﻦ، ﻭﻟﻜﻨﻪ
ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺑﻄﺮﺍ
.
অর্থাৎ ‘‘আবূ সাঈদ খুদরী (রা.)'র হাদীস
থেকে পাওয়া যায়,
১। সুন্নাহ, নিসফে সাক পর্যন্ত।
২। ইচ্ছাধীন, নিসফে সাকের নিচ থেকে
গিরার উপর পর্যন্ত।
৩। হারাম, গিরার নিচে পরিধান করা…’'
.
[শারহু রিয়াযুস সালিহীন, ৭/৩৩১]
.
সঊদী আরবের বর্তমান প্রধান মুফতী শায়খ
আব্দুল আযীয আলে আশ শায়খ
(হাফিযাহুল্লাহ)'র ফাতাওয়া,
ﻭﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻟﺒﺎﺳﻪ ﻓﻮﻕ ﻛﻌﺒﻴﻪ، ﻭﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺒﻠﻎ
ﺑﻪ ﺃﻧﺼﺎﻑ ﺳﺎﻗﻴﻪ ،
.
অর্থাৎ ‘‘প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যিক
গিরার উপর পোশাক পরিধান করা। আর
মুস্তাহাব হলো, নিসফে সাক পর্যন্ত ঝুলিয়ে
পরিধান করা।’'
.
শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহ.) বলেন,
ﻻ ﺷﻚ ﺃﻥ ﻗﺼﺮ ﺍﻟﺜﻮﺏ ﺇﻟﻰ ﻧﺼﻒ ﺍﻟﺴﺎﻕ ﺳﻨﺔ ﻣﺴﺘﺤﺒﺔ ﺭﺍﺟﺤﺔ ﻻ ﺷﻚ ﻭﻻ
ﺭﻳﺐ ﻓﻴﻬﺎ
.
‘‘কোনো সন্দেহ নেই যে, জামা নিসফে
সাক পর্যন্ত পরিধান করা সুন্নাহ,
মুস্তাহাব। এটাই উত্তম। কোনো সন্দেহ ও
দ্বিধা নেই।’'
.
তিনি অন্যত্র আরো বলেছেন,
ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺟﻌﻞ ﺍﻟﻘﻤﻴﺺ ﺇﻟﻰ ﺃﻧﺼﺎﻑ ﺍﻟﺴﺎﻗﻴﻦ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﺟﺎﺀ ﺍﻟﻨﺺ ﻓﻲ ﺍﻹﺯﺍﺭ ﻷﻥ
ﻋﺎﻣﺔ ﻟﺒﺎﺳﻬﻢ ﻛﺎﻥﺍﻹﺯﺍﺭ
.
অর্থাৎ ‘‘সুন্নাহ হলো, জামা নিসফে সাক
পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরিধান করা।’’
.
সঊদী আরবের প্রাক্তন প্রধান মুফতী শায়খ
আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.)
বলেন,
ﺃﻥ ﺟﻌﻞ ﻃﺮﻑ ﺍﻟﻘﻤﻴﺺ ﺃﻭ ﺍﻹﺯﺍﺭ ﺇﻟﻰ ﻧﺼﻒ ﺍﻟﺴﺎﻕ ﺳﻨﺔ، ﻭﺃﻧﻪ ﻻ ﻓﺮﻕ
ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ،
.
অর্থাৎ ‘‘জামা, ইযার নিসফে সাক পর্যন্ত
ঝুলিয়ে পরিধান করা সুন্নাহ।’’
.
প্রসিদ্ধ হাম্বলী ফকীহ, ইমাম মারদাওয়ী
(রহ.) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)'র
মাযহাব সম্পর্কে লিখেছেন,
ﻭﻳﻜﺮﻩ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺛﻮﺏ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺇﻟﻰ ﻓﻮﻕ ﻧﺼﻒ ﺳﺎﻗﻪ، ﻧﺺ ﻋﻠﻴﻪ
.
অর্থাৎ ‘‘তিনি পুরুষের জন্য নিসফে সাকের
উপরে জামা পরিধান করাকে অপছন্দ
(মাকরূহ) করতেন।’'
.
[আল ইনসাফ, ১/৪৭২]
.
আরো অনেক মুহাদ্দিসীন ও ফুকাহাগণের
বক্তব্য, ব্যাখ্যা সংগ্রহে রয়েছে। পেশ
করলাম না। এতটুকুই যথেষ্ট মনে করলাম।
.
আশা করি, এখন আর সুন্নাতী লিবাসকে
অপমান করবেন না। সুন্নাতী পোশাককে
অস্বীকার করে, সুন্নাহ অস্বীকার করার
মতো জঘন্যতম কাজ করবেন না।
.
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সঠিক বুঝ দান
করুন। আমীন।
Comments
Post a Comment